জি আর রনক,(রাজশাহী ব্যুরো):
রাজশাহীতে আরিফুল আলম ওরফে জন (৪৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় নগরের রাজারহাতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই আহত অবস্থায় আরিফুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করছেন আরিফুলের স্বজনেরা। গুলিবিদ্ধ আরিফুল আলম রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ সংলগ্ন রাজারহাতা এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকারের ভাতিজা। গতকাল রাতে অস্ত্রোপচার শেষে আরিফুল বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।
গুলি করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজীব। তিনি বলেন, ‘আরিফুল মাদক ব্যবসা করে। মাদক ব্যবসা নিয়েই তার পার্টনারদের সঙ্গে গণ্ডগোল হচ্ছিল। তাঁর পার্টনাররাই গুলি করেছে বলে শুনলাম। ঘটনার পর আমরা গেলে লোকজন বলল, ওদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল। তোমরা সাইডে যাও। তখন আমরা চলে এসেছি।
আরিফুলের চাচা আসলাম সরকার বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজারহাতা এলাকায় নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে রাস্তায় গাড়ি রাখা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার পর ওই যুবকেরা রটিয়ে দেন যে তিনি আওয়ামী লীগকে গালিগালাজ করেছেন। এ কথা শুনে ওই দিন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজীব হাসান তার ভাতিজা আরিফুলকে মারতে এসেছিলেন। তবে আরিফুল ওই সময় সেখানে ছিলেন না। গতকাল রাত ১০টায় আরিফুলকে একা পেয়ে রাজীব তার দলবল নিয়ে এসে তার মাথায় পিস্তল ঠেকান। একপর্যায়ে তারা আরিফুলের পায়ে গুলি করেন।তবে ভিন্ন কথা বলছেন স্থানীয়রা, তারা বলছেন গুলিবিদ্ধ আরিফুল আলম জন দির্ঘদিন থেকে মাদক সেবন ও ব্যবসা করে আসছিলেন। কয়েকমাস থেকে মাদকব্যবসা পরিচালনার জন্য রাজারহাতা এলাকায় নির্মাণাধীন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে বেছে নেন তিনি। প্রতিদিন রাত্রি তিনটা পর্যন্ত বিভিন্ন মাদকব্যবসায়ী ও সেবীদের নিয়ে শহীদ মিনারের যায়গাতে তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো। মাঝে মধ্যে তাদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বহুবার। গতকাল রাত্রিতেও মাদকের ব্যবসা নিয়েই তার পার্টনারদের সঙ্গে গণ্ডগোল হচ্ছিল আরিফুলের। এ গন্ডগোলে তার পার্টনারই আরিফুলকে গুলি করেছে বলে আমরা শুনেছি।
এই বিষয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আসলেই গুলি হয়েছে কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। রাজীব হাসান গুলি করেছেন বলে আরিফুলের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু আরিফুলের পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। পুলিশ নিয়মমাফিক তদন্ত করছে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট