স্টাফ রিপোর্টারঃ(পাবনা থেকে)
আগুনে পুড়ে দুটি ঘর ভুষ্মীভূত ও একটি গরু পুড়ে মারা গেছে।পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার নয় নং ফৈলজানা ইউনিয়নের চার নং ওয়ার্ডের কুয়াবাসী গ্রামের মোঃ হাসেন প্রামানিক পিতাঃ মোঃ তোরাব আলী প্রামানিক উভয়ের দুটি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েগেছে ও একটি ছাপড়া ঘর আংশিক পুড়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটে ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ১০০ গজ উত্তরে, কুয়াবাসী মধ্য পাড়া।
গোয়ালে থাকা তিনটি গরুর মধ্যে একটি বড় ষাড় গরু পুড়ে মারা গেছে।
আজ সন্ধ্যা পাঁচ টার দিকে অর্থাৎ মাগরীবের সময় হাসেন প্রামাণিকের স্ত্রী মোছাঃ খুশি খাতুন(৫০) ভাত রান্না করার সময় হাস-মুরগী ঘরে তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
সে সময় অসাবধানতা বশত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় তোরাব প্রামাণিক এর স্ত্রী মোছাঃ হাসিনা খাতুন এগিয়ে এসে চিল্লা চিল্লি করতে থাকে,
সে সময় অনেকে এগিয়ে আসলেও নিকটে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় নিরুপায় হয়ে পানির প্রতীক্ষা করতে হয়।মাগরীবের নামাজে থাকা মুসল্লীরাও এগিয়ে আসে ও আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
গোয়ালে থাকা গরু বাঁচাতে গিয়ে মোছাঃ হাসিনা খাতুনের ডান হাত পুড়ে গেলেও তিনটি গরুর মধ্যে দুটি গরু হেফাজতে নিতে সক্ষম হন কিন্তু লক্ষাধিক টাকা মুল্যের একটি বড় ষাঁড় গরু পুড়ে মারা যায়।
খুশি খাতুনের শরীরের বিভিন স্থানে মারাত্মক ভাবে পুড়ে গেছে।
ঘর, ধান-পাট অন্যান্য জিনিস পত্র মিলিয়ে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান প্রায় তিন লক্ষ টাকা হবে।
আহত হাসিনা খাতুন ও খুশি খাতুন কে তাৎক্ষণিক ভাবে উদ্ধার করে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের (সংরক্ষিত) সদস্য মোছাঃ মজিদা খাতুন ও ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে,
ভাত রান্না করার সময় অসাবধানতা বশত আগুন ছড়িয়ে পড়ে উল্লেখিত পরিমান টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
মহিলা সদস্য বলেন, আমি তিনটি কম্বল দিয়ে এসেছি।
চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানিয়েছি, উনি এসে দেখবেন ও সাহায্য সহযোগীতার ব্যবস্থা করবেন।
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুটির জন্য।
তার সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উর্ধতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট