আসাদ আলী,কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রাজারহাট বিষ্ণুপুর ঘোষপাড়ায়
শতাব্দী প্রাচীন “বাবা পাগলা গাজী” র থান
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার রাজারহাট বিষ্ণুপুর ঘোষপাড়ায় অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন “বাবা পাগলা গাজী”র এই থান।যার একেবারে দক্ষিণ পাশদিয়ে বহমান আরও এক প্রাচীন পিচের রাস্তা যার নাম স্যার রমেশচন্দ্র মিত্র রোড (SRCM)। এই থান বরাবরই একটি সম্প্রীতির মহামিলন ক্ষেত্র। এখানে জাতপাত ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই এখানে আসেন এবং তাঁদের দুঃখ, যন্ত্রনা, কষ্টের কথা গাজী বাবা কে জানান এবং গাজী বাবা র কাছে সেই সব দুঃখ কষ্ট থেকে নিরসনের জন্য দোয়া চান।এলাকার বহু মানুষই এই গাজী বাবা কে খুব ই জাগ্ৰত বলে মনে করেন, ভক্তি ও শ্রদ্ধা করেন।
এই রাস্তাটি দিয়ে যত যানবাহন চলাচল করে তার ড্রাইভারগণ পরম বিশ্বাসের সাথে এখানে ২/৫ টাকা ফেলে অর্থাৎ দান করেন এই বিশ্বাসে যে, রাস্তাঘাটে বিপদআপদ থেকে গাজী বাবা র দয়ায় রক্ষা পাওয়া যাবে। অনেক ভিখারি কে সেই টাকা পয়সা কুড়িয়ে নিতে দেখা যায়। বহু মানুষ পরম বিশ্বাসে এখানে মানত করেন। প্রতি বছর ১৬-পৌষ সমস্ত দিনরাত্রি এখানে এই গাজী বাবা র নামে স্থানীয় মানুষজন হিন্দু মুসলিম সমস্ত জাতপাত ব্যাতিরেকে মিলেমিশে চাঁদাপত্র তুলে যেমন খুশি দান করতে পারেন, কোন জোর জবরদস্তি থাকে না, প্রায় দু’আড়াই হাজার মানুষ কে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। পরম ভক্তিতে মানুষ সেই খিচুড়ি খান পাশাপাশি বসে, যাঁরা বসে খাওয়ার সময় পাননা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সবাই মিলে খান।
আজ আমি ঝখন এই থানের ফটো তুলি সৌভাগ্য বশতঃ স্থানীয় এক প্রৌঢ়া এই গাজী বাবা র থানে আসেন মোমবাতি, ধূপ, ফুল প্রভৃতি নিয়ে গাজী বাবা র কাছে তাঁর সুখদুঃখের কথা শেয়ার করতে, আমি আমার ছোটবেলা থেকেই এই প্রৌঢ়া কে এই থানে এসে বসে ধূপ, মোমবাতি, জালতে ও ফুল দিতে দেখে আসছি, আজ পাঠকগণ ও তাঁকে দেখতে পাবেন। তাঁর ছবি তুলতে তিনি খুব খুশি হলেন, তাঁর ছোট্টো মোবাইলে ছবি তুলে দিতে বললেন, আমি ও খুশি হয়ে ফটো তুলে দিলাম।এবং তাঁকে জানালাম এটি নিউজ হলে তাঁর মোবাইলে দিয়ে দেবো। তিনি খুব খুশি হলেন।
‘দৈনিক খবর পদ্মা সেতু’ র সৌজন্যে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট