তিতাস প্রতিনিধি,
এস এম মনি সরকার
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জহির হত্যা ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে আরও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার সকালে মানিককান্দি গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জহির হত্যা মামলার ৭নং আসামি মোকাররম এর বাড়িতে চারটি ঘরে লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘরে থাকা স্বর্ণ,নগদ টাকা,চাউল,খাট,ফ্রীজন নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন মোকাররম মা রোশনআরা বেগম(৭৫) ও স্ত্রী রোজিনা আক্তার। তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, মোকাররম এর সোনালী মৎস্য প্রকল্পসহ পাঁচটি পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার মালামাল লুটপাট করেছে জহির হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন।
মোকাররম এর স্ত্রী রোজিনা আক্তার আরও বলেন চার বছর পূর্বে আমার স্বামীকে তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত-পা ও মাথায় গুরুতর জখম করেছে যা তিতাসবাসী জানেন।
তিনি বলেন, আমি জহির হত্যার বিচারসহ আমাদের বাড়িতে লুটপাটের বিচারও চাই।
নিহত জহির মোল্লার চাচা মনির হোসেন মোল্লা বলেন,মোকাররমদের মালামাল তারা নিজেরাই নিয়ে গেছে,এখানে কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা ফাহিম মোল্লা বলেন,বাবুল চেয়ারম্যান জহির ভাইকে ঢেকে নেয় এবং তার ইশারায়ই জহির ভাইকে হত্যা করে।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, এখন মানিককান্দি গ্রাম শান্ত আছে। যা ঘটেছে জহির হত্যার পর পরই হয়েছে। এছাড়া আর কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। তবে এখনও মানিককান্দি গ্রামে দুই সিপটে পুলিশ ডিউটি করছে।
উল্লেখ্য ৬ ডিসেম্বর বিকেলে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ সমর্থক সাইফুল ইসলাম গ্রুপ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপের মধ্যে মানিককান্দিতে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সময় যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মোল্লা (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট