হাফিজুর শেখ সম্পাদক ও প্রকাশক
শীত মৌসুমে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে যায় বলে এ সময় খেজুরের গুড়ের বিশেষ চাহিদা থাকে। খেজুরের রস থেকে তৈরি এ গুড়ের মূল ঠিকানা গ্রামাঞ্চল। সেখানকার হাটবাজারে চলতি মৌসুমে খেজুরের গুড় যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সুপারশপসহ বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্রে তা হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ।
বাজারসহ কয়েকটি সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে, খেজরের গুড় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।অথচ রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর ও যশোরের স্থানীয় বাজারে গুড় বিক্রি হচ্ছে অনেক কম দামে। রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে খেজুরের গুড় বিক্রি হচ্ছ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় এই গুড় ১১০ থেকে ১২০ টাকা।এসব এলাকার চাষীরা সরাসরি গাছ থেকে রস আহরণ করে গুড় বানিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। পাইকাররাও সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে গুড় কিনে নেন। এই গুড় তারা ঢাকার কারওয়ান বাজার, কাপ্তানবাজার, মিরপুরের মাজার রোড, বাবুবাজারসহ বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করেন। সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। অর্থাৎ চাষি থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে তিনবার হাতবদল হয় গুড়।সুপারশপে গুড় কিনতে আসা সরকারি চাকরিজীবী জুবায়ের আহমেদ বলেন, এক কেজি গুড়ের দাম ৪০০ টাকা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তারা বলছে অর্গানিক। তবে দাম কম হলে সুবিধা হতো।হাহবদলেই বেড়ে যায় ১০০ টাকা: চুয়াডাঙ্গায় গুড়ের দাম নিয়ে খুশি নন চাষীরা। পাইকাররা তাদের কাছ থেকে গুড় কিনে নিয়ে কেজি প্রতি প্রায় ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। চাষীরা বলছেন, লাভ চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে।সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের কৃষক জানান, নিজের ও লিজ নেয়া কিছু গাছ মিলিয়ে মোট ১২০টি খেজুর গাছের রস থেকে তিনি গুড় তৈরি করছেন। একটি গাছ থেকে সপ্তাহে এক কেজি গুড় পাওয়া যায়। সেই গুড় তিনি বিক্রি করেন ২০০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ভালো মানের গুড় বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, বাজারে কম দামে যেসব গুড় পাওয়া যায়, সেগুলোতে চিনি মেশানো হয়। ভালো গুড় ২৮০ টাকার কমে পাওয়া যাবে না।চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, এ জেলায় আড়াই লাখ খেজুরগাছ আছে। তা থেকে চলতি মৌসুমে আড়াই হাজার মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন সম্ভব। রস সংগ্রহ থেকে গুড় উৎপাদন পর্যন্ত একটি খরচ আছে। দাম আরেকটু বাড়লে চাষীদের জন্য ভালো হতো।যশোরে বিভিন্ন দাম,যশোরে খেজুর রসের তৈরি পাটালি গুড় মান ও স্থান ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। পাটালি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। ঝোলা গুড় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এবং দানা গুড় ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। পাটালি গুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ খাজুরা বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, এখনকার বাজারে খেজুর রসের যে দাম, এতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় চিনি মেশানো ছাড়া পাটালি গুড় বেচতেই পারবে না।চৌগাছা উপজেলার এক চাষী বলেন, আমি সুনামের জন্য সম্পূর্ণ চিনিমুক্ত পাটালি তৈরি ও বিক্রি করি। কিন্তু দাম বেশি। আমার এক কেজি পাটালি ৪০০ টাকা
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট