ভারত থেকে মহিষ আমদানি করা হয়। শুল্ক ছাড়াই ভারতের হরিয়ানা থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মহিষের একটি বড় চালান আমদানি হয়েছে। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাঁচটি ভারতীয় ট্রাকে ছোট-বড় ৬৪টি মহিষ আসে বেনাপোল বন্দরে।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মহিষগুলো বাগেরহাটের ফকিরহাটে মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প খামারে যাবে। দুধ উৎপাদনের জন্য ৩২টি বড় ও ৩২টি বাছুর (প্রজনন) আমদানির দরপত্র দেওয়া হয়। ঢাকার আমদানিকারক জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড মহিষগুলো ভারত থেকে আমদানি করে। ভারতের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান নোরায়াল ডেইরি ফার্ম।শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মন্ড বলেন, মহিষগুলো বাগেরহাটের ফকিরহাট এলাকার মহিষ উন্নয়ন প্রকল্প খামারে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মহিষগুলো ভালো পাওয়া গেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সরকারি শুল্ক আদায় করে যথাযথভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ এনাম হোসেন মহিষ আমদানির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মহিষগুলো বেনাপোল কাস্টমস হাউজ থেকে খালাস নিতে মুক্তি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রোববার বিকেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুল্কায়ন করার পর খালাস দেওয়া হবে। মহিষের আমদানি মূল্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ৬১ হাজার ৮৪৪ মার্কিন ডলার। এসব মহিষের কোনো আমদানি শুল্ক নেই। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ছাড়পত্র নিতে হবে।এর আগে ২০১৮ সালের ৯ মে বেনাপোল দিয়ে ১০০টি মহিষ আমদানি হয়। সিরাজগঞ্জের মিল্কভিটা কোম্পানি দুধ উৎপাদনের জন্য ৫০টি মহিষ ও ৫০টি মহিষের বাছুর (প্রজনন) ভারত থেকে আমদানি করেছিল
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট